কিশোর বাংলা প্রতিবেদন : বিজ্ঞান মেলায় একটি স্টলের নাম ‘আমরাই বিজ্ঞানী’। এই স্টলে একজন সেজেছে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট, শিক্ষক, কারিগর ও একজন কৃষক। তাদেরকে এখন অনেকে ‘ক্ষুদে বিজ্ঞানী’ হিসেবে অভিহিত করে। কারণ তারা প্রায় প্রতিটি কাজে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে কাজ করে এবং সফলও হয়েছে।
আরেকটি স্টলের নাম ‘ফেলনা থেকে খেলনা’। এই স্টলে প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি গাড়ি, কলমদানি, লবনদানি, ছাঁকনি, কাগজে তৈরি দূরবীন ও স্কুল কক্ষ সাজসজ্জার উপকরণ দর্শনার্থীদের বেশ আকৃষ্ট করে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মহাখালীর ওয়্যারলেস গেইট সংলগ্ন টিঅ্যান্ডটি মাঠে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলায় এই প্রতীকী উপস্থাপন অন্যান্য ক্ষুদে শিক্ষার্থীর মাঝেও বিপুল সাড়া ফেলেছে। বিজ্ঞান পাঠকে সহজতর করা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি দূর করে বিজ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ তৈরির লক্ষ্যে এ আয়োজন করে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি।
সকালে বেলুন উড়িয়ে মেলা উদ্বোধন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচির প্রধান প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মণ, কর্মসূচি সমন্বয়ক নজরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মসূচির কর্মকর্তারা।
মেলায় জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদসমূহের পুনঃব্যবহার, পানি দূষণ ও এর প্রভাব, মানবজীবনে প্রযুক্তির ব্যবহার, গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া, শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য উপাদানের প্রয়োজনীয়তা সম্বলিত ‘খাদ্য পিরামিড’, প্রাণী জগতের নির্ভরশীলতা সূচক ‘খাদ্য ওয়েব’ ইত্যাদি ‘প্রজেক্ট’ তুলে ধরা হয়।
বিকেলে অনুষ্ঠিত সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান। মেলায় সৃজনশীলতা ও উচ্চ মানসম্মত প্রজেক্ট তুলে ধরার জন্য প্রথম স্থান অধিকার করে কাঠ গড়া চার ব্র্যাক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান ও ইরা আক্তার। দ্বিতীয় হয়েছেন- আহলিয়া ছয় ব্র্যাক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জোহরা ও সোহেল রানা এবং তৃতীয় হয়েছেন- মুরালি ব্র্যাক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থী শাহনাজ আক্তার মীম ও বর্ষা খাতুন।
২০১৫ সাল থেকে বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করে আসছে ব্র্যাক। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও দিনব্যাপী এই বিজ্ঞান মেলা-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের মেলায় ২১টি স্টলে অংশ নেয় ব্র্যাক স্কুলের ৬৮ জন শিক্ষার্থী।