কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: শিরোনামের প্রশ্নটি রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী বালক বিদ্যালয়ের এক ছোট্ট শিক্ষার্থীর। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনের কাছে স্কুলে আসার একটি রাস্তার দুর্দশার বর্ণনা দিয়ে আবদার জানায় তা নিরসনের। জবাবে মেয়র সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে তাৎক্ষণিক নির্দেশ দিয়ে শিশুটিকে আশ্বস্ত করলেন দুই দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে এর ছবি পাঠাবেন তাকে।
বুধবার রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ‘জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের কথা শোনেন মেয়র।
জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে মেয়র বেশ কিছু সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দেন। কিছু সমস্যা সমাধান করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সিদ্ধেশ্বরী এলাকার বেশির ভাগ সমস্যাই ওয়াসাকেন্দ্রিক। এ কারণে ওয়াসাকে দুষলেন এলাকাবাসী। মেয়র এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেন সব সমস্যা সমাধান করবেন বলে। একই সঙ্গে আগামী এক বছর হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন দক্ষিণ সিটির মেয়র।
অনুষ্ঠানে ছোট্ট শিশু দীপুময় দাস মাইক্রোফোন হাতে দাঁড়িয়ে মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। দীপুময় বলে, ‘মেয়র আঙ্কেল, ১৬ সিদ্ধেশ্বরী রাস্তায় সব সময় পানি জমে থাকে, সঙ্গে ময়লা আর যানজট। আমি স্কুলে যেতে পারি না। আমার এই রাস্তা ঠিক করে দেবেন?’
দীপুময়ের কথা শুনে মেয়র সঙ্গে সঙ্গে তার পাশে বসা কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, ‘কবে ঠিক করে দেবেন?’ অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক জানান, পরশু ঠিক করে দেবেন। এরপর মেয়র শিশুটির উদ্দেশে বলেন, ‘তোমার রাস্তা পরশু ঠিক করে তোমার কাছে একটা ছবি পাঠিয়ে দেব।’
শহরের যানজট নিরসনেও কথা বলেন মেয়র খোকন। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে। সরকার এমআরটি, বিআরটি লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে, এ জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে এই মুহূর্তে কিছুটা স্বস্তি ফেরাতে নগর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শমতে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশেষ অভিযানে নামছে ডিএসসিসি।
মেয়র খোকন বলেন, ‘আমরা যদি ফুটপাত পথচারীদের চলাচল উপযোগী করতে পারি তাহলে মানুষ রাস্তায় নামবে না। যানবাহন চলাচল সহজ হবে। ফুটপাত চলাচলের উপযোগী হলে ২৫-৩০ শতাংশ যানজট কমে যাবে।’ এই শহরে পারিবারিক যত মনোমালিন্য, ঝগড়াঝাটি, রাগ-অভিমান হচ্ছে তার অন্যতম মূল কারণ যানজট বলেও মন্তব্য করেন মেয়র।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ বিভাগীয় প্রধান ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।