মাসের প্রথম দিনেই অনলাইনে প্রকাশিত হলো কিশোর বাংলা’র অগাস্ট , ২০২০ সংখ্যা
কিশোর বাংলা প্রতিবেদনঃ মাসের প্রথম দিনেই পাঠকদের জন্য প্রকাশিত হলো কিশোর বাংলা’র অগাস্ট, ২০২০ সংখ্যা। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে শিশুকিশোরদের জন্য এই সংখ্যাটিও অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে।
কিশোর বাংলা’র ওয়েবসাইট www.kishorebangla.com -এ ১লা অগাস্ট-এর প্রথম প্রহর থেকেই বিনামূল্যে পড়া ও ডাউনলোড করা যাচ্ছে সংখ্যাটি। বর্তমান কোরোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও সংক্রমণের কারণে পাঠকদের জন্য ঘরে বসেই কিশোর বাংলা পড়তে পারার সুযোগ তৈরির জন্যই এই উদ্যোগ।
বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি হলে কিশোর বাংলা’র অফিসে যোগাযোগ করলে মুদ্রিত সংখ্যাটি পাঠিয়ে দেয়া হবে গ্রাহকের ঠিকানায়।
কিশোর বাংলা’র অগাস্ট, ২০২০ সংখ্যাটিতে রয়েছে বৈচিত্র্যময় নানা আয়োজন। এই সংখ্যায় গল্প লিখেছেন এমরান চৌধুরী, ইনাম আল হক, মুস্তফা মাসুদ, ইম্রুল ইউসুফ, সজল দাশ সহ আরও অনেকে। ছড়া লিখেছেন দেলওয়ার বিন রশিদ, দীপংকর চক্রবর্তী, আসলাম সানী, আমীরুল ইসলাম, দীপ মুখোপাধ্যায় (ভারত), শৈলেন্দ্র হালদার (ভারত), ইকবাল বাবুল, আহসান মালেক, আনজীর লিটন প্রমুখ। আলী ইমাম, শাহ আলম বাদশা, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, আহমেদ জসিম লিখেছেন প্রবন্ধ। এছাড়াও আছে বাংলা শিশুকিশোর সাহিত্যের কিংবদন্তী চরিত্রগুলোকে নিয়ে প্রশান্ত ভৌমিকের ধারাবাহিক লেখার প্রথম পর্ব। এবার লিখেছেন ‘ফেলুদা’-কে নিয়ে। আরও আছে ডা. সজল আশফাকের স্বাস্থ্য রচনা, সত্যজিৎ বিশ্বাসের রম্য বিভাগ ‘বাংলার হাসি’, মোস্তফা মামুনের রচনা ও সব্যসাচী চাকমার আঁকায় গ্রাফিক নভেল, সামীউর রহমানের খেলাধুলা বিষয়ক রচনাসহ নিয়মিত অনেক বিভাগ।
কিশোর বাংলা’র সম্পাদক মীর মোশাররেফ হোসেন শিশুকিশোরদের বর্ষার এই সময়ে নানা অসুখ বিসুখের হাত থেকে ও করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে উপদেশ দিয়েছেন।
সাথে সাথে তিনি শোকাবহ অগাস্ট মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট ঘাতকের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে নিহত জাতির পিতার পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বিশেষ করে তিনি স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধুর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান শিশু শেখ রাসেলকে।
তিনি বলেন, “ওই নির্মম হত্যাকাণ্ডে রক্ষা পায়নি বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে ছোট ছেলে – শিশু শেখ রাসেলও। সে তোমাদের অনেকের মতোই একটি শিশু ছিল। তার স্বপ্নগুলো, সম্ভাবনাগুলো ডানা মেলার আগেই কাপুরুষ ঘাতকদের হাতে তাকে জীবন দিতে হয়। আজ সে থাকলে হয়তো দেশের জন্য এক অনন্য সম্পদে পরিণত হতো। আর বঙ্গবন্ধু যদি সেদিন জীবন না হারাতেন, তাহলে বাংলাদেশ হয়তো অনেক আগেই পৌঁছে যেত এক অনন্য উচ্চতায়।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানার জন্য শিশুকিশোরদের উৎসাহিত করে তিনি আরও বলেন, ” তোমরা আমাদের স্বাধীনতার, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসটা সবসময় জানার চেষ্টা করবে। তাহলে দেশপ্রেমের আলোয় আলোকিত হয়ে তোমরা একটি সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে পারবে এবং একই সাথে দেশের জন্যও ভালো কিছু করতে পারবে।”
বর্তমান সময়ের প্রয়োজনে অনলাইনে প্রকাশ ও বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ করে দেয়ার কিশোর বাংলা’র এই উদ্যোগকে শিশুকিশোর, অভিভাবক, লেখক, সাহিত্যিকসহ সকলেই সাধুবাদ জানান।