মামলার আসামি ছয় বছরের শিশু!

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: তদন্তকারি কর্মকর্তার চরম গাফিলতির কারণেই মাত্র ৫ বছর ৮ মাস বয়সের শিশু (বর্তমানে ৮ বছর) খাইরুল আমিনকেই হতে হলো মাদক মামলার আসামি। পুলিশের হাতে ধরা পড়া সরোয়ার আলম নামের এক মাদক কারবারি  তার নাম গোপন রেখে পুলিশকে দেয় আপন চাচাত ভাই কিশোর খাইরুল আমিনসহ তার বাবার নাম।
তদন্তকারী কর্মকর্তাও এসব যাচাই বাছাই না করে অভিযোগপত্র দিয়ে পঠিয়ে দেয় আদালতে। এরই মধ্যে মূল আসামি সরোয়ার আলম জামিনে বেরিয়ে যায় জেল থেকে। তার স্থলে অভিযোগপত্রে নাম আসে আপন চাচাত ভাই কিশোর খাইরুলের। মাদরাসা ছাত্র কিশোর খাইরুলই এখন মাদক মামলার আসামি হয়ে আদালতে আসা-যাওয়া করছে। খাইরুলের পিতা শামশুল আলমের অভিযোগ-তদন্তকারী কর্মকর্তা পলাতক আসামি সরোয়ারের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েই তার শিশু পুত্রকে আসামি বানিয়ে দিয়েছে।
এদিকে সেই তদন্ত কর্মকর্তা (মামলার আইও) মহেশখালী থানার উপপরিদর্শক বিকাশ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতের নির্দেশ থাকলেও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। আর আদালতের এমন নির্দেশনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার।