বয়ঃসন্ধিকালে কৈশোরের ঝুঁকি এবং অভিভাবকদের করনীয়

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: বয়ঃসন্ধিকালে একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি শিশুর শরীর একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে রূপান্তরিত হয় এবং প্রজননের সক্ষমতা লাভ করে।

এ সময় আমাদের শরীর বিভিন্ন ধরনের হরমোন উৎপাদন শুরু করে যার ফলে মস্তিষ্ক, অস্থি, পেশি, ত্বক, স্তন, এবং জনন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহের বৃদ্ধি শুরু হয়। বয়ঃসন্ধিকালের মধ্যভাগে এই বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয় এবং বয়ঃসন্ধিকাল শেষ হবার মাধ্যমে এই বৃদ্ধি সম্পূর্ণ হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে মানুষের ১০ থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত সময়টাকে বলে বয়ঃসন্ধিকাল। এই সময় শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তনের ফলে কিশোর-কিশোরীরা নতুন জগতে প্রবেশ করে। বয়ঃসন্ধিকালে তাদের চিন্তা-চেতনায় দেখা দেয় ব্যাপক পরিবর্তন।

শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি মানসিক বিকাশ এবং দায়িত্ববোধ যোগ হতে থাকে। অর্থাৎ বয়ঃসন্ধি হলো একাধারে দৈহিক, মানসিক এবং সামাজিক একটা অভিজ্ঞতা।

বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর অপরাধের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সে সময়ে অভিভাবকগণকে তাদের সন্তানদের প্রতি
বিশেষভাবে যত্নবান ও সতর্ক হতে হবে।

  •  এ বয়সের শুরুতে পিতা, মাতা, অভিভাবকগণ ছেলেমেয়েদের প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে ।
  • তাদের গতিবিধি চাল-চলন, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি সতর্ক হতে হবে।
  • ছেলেমেয়েদের সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করে সমস্যা সমাধান করতে হবে।
  • অতিরিক্ত শাসন বা সোহাগ করা কখনো কাম্য নয়।
  • প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা পয়সা তাদের দেয়া যাবে না।
  • বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মোবাইল, ইন্টারনেট, কম্পিউটার ইত্যাদি যেন একা একা ব্যবহার না করতে পারে সে ব্যাপারে অভিভাবকগণ অধিক যত্নবান হতে হবে।
  • বেতার-টেলিভিশনে এবং প্রচার মাধ্যমগুলোতে শুধু শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান শোনা এবং দেখার সুযোগ দিতে হবে।
  • অতিরিক্ত চিত্তবিনোদন পরিহার করতে হবে।
  • আমাদের মনে রাখতে হবে তথ্যপ্রযুক্তির যেমন ভালো দিক আছে তার খারাপ দিকগুলো যেন পরিহার করে চলতে পারে তার অভ্যাস গঠন করতে হবে।