কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: ‘মা’ ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু পরিধি এতো বিশাল যা বর্ণনা করা যায় না। সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকে মধুর এ শব্দটি শুধু মমতার নয়, ভালোবাসারও সর্বোচ্চ আধার। রবিবার বিশ্ব মা দিবস। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার এই দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়। যদিও মাকে ভালোবাসা জানাতে কোনো দিনক্ষণ লাগে না; তবুও মায়ের জন্য ভালোবাসা জানানোর দিন আজ।
মা দিবসের উদ্দেশ্য, প্রতিটি মাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেওয়া। যিনি জন্ম দিয়েছেন, লালন-পালন করেছেন—সেই মা অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলিত। ঘরে-বাইরে সর্বেক্ষত্রে মায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষেই দেশে দেশে মা দিবস পালন করা হয়।
ইউরোপ-আমেরিকায় ঘটা করে পালন করা হয় মা দিবস। বাংলাদেশে দিবসটি পালনের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। নাগরিক জীবনে দিনটি পালনের ক্ষেত্রে বেশি সাড়া মিলছে কয়েক বছর থেকে। জাতীয় পর্যায়ে এ দিবসে তেমন কর্মসূচি না থাকলেও রাজধানীতে কিছু সামাজিক সংস্থা ও সংগঠন নানা আয়োজনে দিনটি পালন করে।
বিশ্ব মা দিবসে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে এক অনারম্বর অনুষ্ঠানে ৫০ রত্নগর্ভ মায়েদের হাতে ‘রত্নগর্ভা মা অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেবে আয়োজক প্রতিষ্ঠান আজাদ প্রোডাক্টস। ‘আমি ও মা’ শীর্ষক ছড়াপাঠ ও ছড়াগানের বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে ম্যাক্সপোজার লিমিটেড। সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হবে।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে আনা জার্ভিস ও তাঁর মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জার্ভিসের উদ্যোগে মা দিবসের সূচনা হয়। ১৯০৮ সালের ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব ভার্জিনিয়ার গ্রাফইনের গির্জায় আনুষ্ঠানিকভাবে মা দিবস পালন শুরু হয়। ১৯১১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে মা দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।