বাল্য বিবাহ নিরসনে সকল স্তরের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: বাল্য বিবাহ নিরসনে শিশুর পিতা-মাতা, পরিবার, সমাজ ও দেশ সকল স্তরের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। বাল্য বিবাহ নিরোধকল্পে সুশীল সমাজ, এনজিও এবং দাতা সংস্থার সরকারের সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছরের নীচে বিয়ে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল ও ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে বিয়ের হার এক তৃতীয়াংশ হ্রাস এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্য বিয়ে সম্পূর্ণভাবে দূর করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
দারিদ্রতা ও অসচেতনতা বাল্য বিবাহের অন্যতম কারণ। এ ব্যাপারে মা-বাবা ও সমাজকে সচেতন করে তুলতে না পারলে কাঙ্খিত সাফল্য আসবে না।
প্রতিটি উপজেলা ও গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত কিশোরী ক্লাব গড়ে তোলা প্রয়োজন। কন্যা শিশুকে লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ দিয়ে তাকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারলে, তারা নিজেরাই নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। মা-বাবাকে তারাই বুঝাতে সক্ষম হবে।
শতভাগ জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে সকল কন্যা শিশুর জন্মনিবন্ধন নিশ্চিত করা গেলে কোনভাবেই ১৮ বছরের নিচে কারো বিয়ে দেয়া সম্ভব নয়।
বাল্য বিবাহ শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে না। এটা উন্নয়ন পরিকল্পনার উপর সুদুর প্রসারী নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার এই দশকের মধ্যে বাল্য বিবাহ দূরীকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।