প্রাথমিক সমাপনীতে এবারও পরীক্ষার্থী কমেছে

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: সারা দেশে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫ জন শিক্ষার্থী এবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীতে বসছে; পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবার কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ। 
পঞ্চমের সমাপনীতে টানা দ্বিতীয় বছরের মত পরীক্ষার্থী কমল, যাকে ‘ভুয়া শিক্ষার্থীর তালিকা তৈরি বন্ধ’ হওয়ার ফল হিসেবে দেখছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগে যখন শতভাগ শিক্ষার্থী উপবৃত্তির পেত না, তখন ভুয়া তালিকা তৈরি করে সরকারের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ সব শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করত।
দেশের সাত হাজার ২৬৭টি এবং বিদেশের ১২টি কেন্দ্রে আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এ সমাপনী পরীক্ষা, চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত।
এবার ২৮ লাখ চার হাজার ৫০৯ জন ক্ষুদে শিক্ষার্থী প্রাথমিক সমাপনী এবং দুই লাখ ৯১ হাজার ৫৬৬ জন ইবতেদায়ী পরীক্ষা দেবে।
এ পরীক্ষায় গত বছর মোট ৩২ লাখ ৩০ হাজার ২৮৮ জন অংশ নিয়েছিল। সে হিসেবে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে এক লাখ ৩৪ হাজার ২১৩ জন। ২০১৫ সালে ৩২ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৪ জন পঞ্চমের সমাপনীতে বসেছিল।
সংবাদ সম্মেলনে ফিজার বলেন, “এবার ছাত্রদের থেকে এক লাখ ৮৯ হাজার ৮০১ জন বেশি ছাত্রী সমাপনীতে অংশ নেবে। এটা আশাব্যঞ্জক যে মেয়েরা প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।”
প্রাথমিক সমাপনীতে এবার দুই হাজার ৯৫৩ জন এবং ইবতেদায়ীতে ৩৭৯ জন ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন’ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “প্রশ্নপত্র বিশেষ নিরাপত্তায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকার ২০৪টি কেন্দ্রে প্রশ্ন পাঠানো হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থায়। পরীক্ষার দিন উপজেলা থেকে কেন্দ্র সচিবের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।”
পরীক্ষার দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
প্রাথমিক সমাপনীর সূচি
১৯ নভেম্বর ইংরেজি, ২০ নভেম্বর বাংলা, ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ২২ নভেম্বর প্রাথমিক বিজ্ঞান, ২৩ নভেম্বর ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং ২৬ নভেম্বর গণিত।
ইবতেদায়ী সমাপনীর সূচি
১৯ নভেম্বর ইংরেজি, ২০ নভেম্বর বাংলা, ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বিজ্ঞান, ২২ নভেম্বর আরবি, ২৩ নভেম্বর কুরআন ও তাজবিদ এবং ২৬ নভেম্বর গণিত।