কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: প্রায় চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আটকে রয়েছে প্রায় তিন হাজার শিশু। যুক্তরাষ্ট্রের একজন ফেডারেল বিচারকের নির্দেশ সত্ত্বেও এসব শিশুর বেশিরভাগকেই এখনো মা-বাবার কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
গত ১০ জুলাই একটি ফেডারেল আদালত ট্রাম্প প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, পাঁচ বছরের কম শিশুদের দু’ দিনের মধ্যে ফিরিয়ে দিতে হবে। এ নিয়ে কোনো ওজর গ্রহণযোগ্য হবে না।
ট্রাম্প প্রশাসন অবৈধ অভিবাসন বন্ধের নামে যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি চালু করে, তারই অংশ হিসেবে মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করে আসা শিশুদের তাদের মা-বাবার কাছে থেকে বিচ্ছিন্ন করে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দেশের ভেতরে ও বাইরে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে গত মাসে অনিচ্ছা সত্ত্বেও ট্রাম্প শিশুদের বিচ্ছিন্ন করার নীতি বন্ধের নির্দেশ দেন।
শিশুদের মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেও বাস্তবে সে নির্দেশ কার্যকর এখনো করেনি দেশটির প্রশাসন। অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের মা-বাবার কোনো খোঁজ সরকারের কাছে নেই। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের যুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর জানিয়েছে।
কোনো কোনো মা-বাবাকে তাঁদের সন্তান ছাড়াই নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা কোথায় আছেন, কেউ জানেন না। এ অবস্থায় আরো কতো দিন শিশুদের বন্ধি থাকতে হবে সে বিষয়েও নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এ পর্যন্ত পাঁচ বছরের কম এমন মোট ৩৮ শিশুকে তারা মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। সরকারি হিসাবে পাঁচ বছরের কম এমন শিশুর সংখ্যা ১০৫ জন।