কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: পথশিশুদের জীবনমানের উন্নয়নে তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অধিকারকর্মীরা। ঢাকার পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পথশিশু সেবা সংগঠনের ১০ বছর পূর্তির আয়োজনে তারা এই আহ্বান জানান।
সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ভেলরি টেইলর বলেন, “ঢাকার পথশিশুদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হলে খুব বেশি কিছু করতে হবে না। নিজ নিজ অবস্থান থেকে একটুখানি হাত বাড়িয়ে দিলেই হবে। সবার একটু একটু প্রচেষ্টায় এই পথশিশুরা একদিন সত্যি রঙিন প্রজাপতি হয়ে উড়বে।”
রাজধানীর শিশু একাডেমিতে এই আয়োজনে মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, “সমাজে প্রতিটি মানুষই সহজাত, অলক্ষ্যণীয় কিছু অধিকার নিয়ে জন্মায়। কিন্তু এই পথশিশুরা জন্ম থেকেই সে অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত। সমাজে অচ্ছুত বলে বিবেচিত পথশিশুরা এখন অবনমিত জীবনযাপন করছে। তাদের মধ্যে কন্যাশিশুদের অবস্থা আরও জটিল।”
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত এই পথশিশুদের অধিকার দিয়ে তাদের আলোর পথে আনতে বিবেকবোধসম্পন্ন নাগরিকদের মানবিকতার উন্মেষ ঘটানোর আহ্বান জানান সুলতানা কামাল।
ব্রাজিলের নাগরিক ও মানবাধিকারকর্মী লুসিও বেনেদিতো বাংলাদেশে এসেই পথশিশুদের নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন। পথশিশুদের মানবিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক অবস্থান নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন। এই কাজে তিনি সঙ্গে পেয়ে যান এ দেশীয় সাত তরুণ স্বেচ্ছাসেবককে।
তারা মিলে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন পথশিশু সেবা সংগঠন। পাঁচ শতাধিক পথশিশুর জন্য আশ্রয় সেবা নিশ্চিৎ করার পাশাপাশি তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবাও দিচ্ছেন দশ বছর ধরে। সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ৭০ জন স্বেচ্ছাসেবী।
কোনো বিদেশি দাতা বা সংস্থা থেকে তহবিল গ্রহণ না করার শপথ নিয়ে অগ্রসর হওয়া এই সংগঠনটি বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবীদের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।