পঞ্চগড়ে তীব্র শীতে স্কুলে উপস্থিতি কম

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: পঞ্চগড়ে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে।
বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বছরের শুরুতে বই পাওয়ায় বিদ্যালয়গুলোতে উপস্থিতির হার ছিল ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ। কিন্তু গতকাল শনিবার উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশে নেমে আসে। অধিকাংশ শিশুর গরম কাপড় না থাকায় তীব্র শীতে তারা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ শিশুর গরম কাপড়ের অভাব। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে অনেক শিশু স্কুলে আসছে না।
এদিকে হাড়কাঁপানো শীতে এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। রাতে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো শিশির পড়ছে। দরিদ্র, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালকেরা শীতবস্ত্রের অভাবে কাজে যেতে পারছেন না।
রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে। শহরের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা একটু বেশি। তাই শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমতে পারে। তবে প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান স্কুল কতৃপক্ষ ।