কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কিশোরীদের ২০০ মিটার এবং রিলের পর ১০০ মিটারেও স্বর্ণ জিতেছে দিশা । বালিকাদের বিভাগে হতাশা ছিল বিকেএসপির রুপা খাতুনের। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণপদক জিতেই তাকে নামতে হয়েছে লংজাম্পে। কিন্তু পায়ে আর কুলোয়নি। কোনোভাবে লংজাম্পে পদক জিততে পারেনি।
এদিকে কিশোরদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ড (১০.৬০ সে.) গড়েছে বিকেএসপির হাসান মিয়া। দুপুরে জেএসসি পরীক্ষা দিয়ে বিকেলে ট্র্যাকে দৌড়ে বাজিমাত করেছে সে। আগের রেকর্ড ছিল ২০১৫ সালে বিকেএসপির আশরাফুজ্জামানের (১০.৭০ সে.) দখলে।
জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সে বিকেএসপির দিনে চমক দেখিয়েছে নাটোরের সুলতান আহমেদ। উপস্থিত অনেকের দৃষ্টিতে বিকেএসপির নাদিম মোল্লা দ্রুততম কিশোর হলেও বিচারকের রায় যায় নাটোরের এই স্প্রিন্টারের পক্ষে। তাদের মতে, ফটোফিনিশিংয়ে এগিয়ে ছিল নাটোরের স্প্রিন্টার। ফলে দ্রুততম বালকের খেতাব জেতে সুলতান। সে সময় নিয়েছে ১১.৪০ সেকেন্ড। নাটোরের গুরুদাসপুর গ্রামের ছেলে সুলতান।
ক্রীড়া বিজ্ঞান কিংবা আধুনিক অনুশীলন তার ভাগ্যে জোটেনি। জুনিয়র মিটকে সামনে রেখে নিবিড় অনুশীলন করেছে। প্রত্যেকদিন সকাল সাতটা থেকে ১০টা এবং বিকেলে- দু’বেলা কঠিন অধ্যবসায় করেছে সুলতান। তাতে দ্রুততম বালকের সাফল্য ধরা দিয়েছে। নিজের জমিতে কাজ শেষে বাবা দবিরুদ্দিন প্রামাণিক অন্যের জমিতে চাষাবাদ করেন। বাড়তি অর্থে বাবা একজোড়া বুট কিনে দিয়েছেন ছেলেকে। সেই বুট পায়ে দিয়েই দ্রুততম বালক হল সুলতান আহমেদ। আসন্ন যুব গেমসেও স্বর্ণপদক জিততে সংকল্পবদ্ধ নাটোরের এই বালক।
আগের দিন ২০০ মিটারে স্বর্ণপদক জিতেছিল দিশা । কাল কিশোরীদের বিভাগে জিতল ১০০ মিটার (১২.৮০ সে.) ও ৪ূ১০০ মিটারেও। গতবার তানজিলার কাছে সোনা হারালেও এবার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না তার। ইচ্ছে থাকলেও ছেড়ে দিয়েছে লংজাম্প। তার কথায়, ‘অনেক হিসেব কষে আমাকে চলতে হয়েছে। তিনটি স্বর্ণপদক জেতার জন্য ছাড়তে হয়েছে আরেকটি প্রিয় ইভেন্ট লংজাম্প।’ ভবিষ্যতে দেশের দ্রুততম মানবী শিরিনের চেয়েও ভালো টাইমিং করতে চায় দিশা ।
জেএসসি পরীক্ষার্থী হাসান মিয়া কিশোর বিভাগে অংশ নিয়েছে বিকেএসপির হয়ে। সাভার ক্যান্টনমেন্টে জেএসসি পরীক্ষা দিয়ে দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের উদ্দেশে রওনা হয় হাসান মিয়া। বিকেলে রেকর্ড গড়ে দ্রুততম কিশোরের খেতাব জিতে নেয়। পরিবারের উৎসাহে ২০১৪ সালে বিকেএসপিতে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হয় হাসান। গত তিন বছরের কঠোর পরিশ্রমে লক্ষ্যে পৌঁছেছে কুমিল্লার সন্তান। পরীক্ষার জন্য ২০০ মিটারে দৌড়ানো হয়নি। ১০০ মিটারের (১০.৬০) পাশাপাশি রিলেতেও স্বর্ণপদক জিতেছে হাসান।