কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: বাংলাদেশের সবচেয়ে বন্যাপ্রবণ জেলা কক্সবাজারে ৫৫ হাজার শিশুসহ অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গা বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছেন। জেনেভাতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
ইউনিসেফের মুখপাত্র ক্রিস্টোফ বুলিয়ার্ক বলেন, ‘প্রবল বৃষ্টির কারণে ঝুঁকিপ্রবণ মানুষের সংখ্যা বেড়ে দুই লাখে পৌঁছাতে পারে।’
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইউনিসেফের তহবিলে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এই তহবিলে এখন পর্যন্ত ৫.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে সংস্থাটি।
বর্ষাকালে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুরা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের অভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে তারা। তীব্র অপুষ্টিতে ইতিমধ্যেই তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
কক্সবাজারে প্রাক মৌসুমি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ২৬ এপ্রিল রাতে ঝড়ের আঘাতে একটি আশ্রয়কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা শরণার্থী শিবিরের বেশ কয়েকটি পরিবারকে প্রভাবিত করেছে।
ইউনিসেফের মুখপাত্র বলেন, বৃষ্টিপাত পানি ও স্যানিটেশনের ওপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে।
ওই এলাকার ৭৭২৭টি নলকূপের প্রায় অর্ধেক (৪৭ শতাংশ) এবং প্রায় ৩০ শতাংশ শৌচাগার বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে। যদিও জরুরি পানি, স্যানিটেশন সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসেবায় পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ইউনিসেফ।