জুতা হাতে নিয়ে আসতে হয় বিদ্যালয় যাত্রা, শিশুদের কষ্টের পথচলা
কিশোর বাংলা প্রতিবেদনঃ রাস্তা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পাল্টিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। অথচ ৩০ গজের একটি রাস্তা শতাধিক শিশু শিক্ষার্থীর কষ্ট দূর করে উপস্থিতির হার বাড়াতে পারে।
জানা যায়, ১৯৭৩ সালে মুছলেম উদ্দিন ও জাহারুল আলম নামের দুই ব্যক্তি ৬২ শতাংশ জমি দান করে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাতা দু’জনসহ বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষক পাঁচজন। শিক্ষার্থী মোট ১০৬ জন। এর মধ্যে শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ১৮ জন। পাল্টিপাড়া ও কান্দাপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থীরা এ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। তবে বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়টিতে উপস্থিতি আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। বর্ষা মৌসুমে শিক্ষকরা শিশু শিক্ষার্থীদের কাদা পানির পথটুকু পার করে দেন। শিশুদের এক হাতে জুতা অন্য হাতে স্কুল ব্যাগ নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্কুলে আসার সময় পাশের বিলপার পর্যন্ত এসে শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে থাকে। পরে শিক্ষক বা বড় কেউ এলে কাদা পানির পথটুকু পার করে দেয় তারপর তারা বিদ্যালয়ে আসে।
অভিভাবক কামাল মিয়া, বকুল ও আছিয়া খাতুন জানান, কাদা পানির কারণে ছেলে-মেয়েরা প্রায়ই বিদ্যালয়ে যেতে চায় না।
প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, রাস্তার জন্যই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। কিন্তু তেঁতুলিয়া-মাইজবাড়ি পাকা সড়ক থেকে বিদ্যালয় পর্যন্ত ৫০০ গজের একটি সংযোগ সড়ক হলে শিক্ষার্থী অনেক বেড়ে যেত।
সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন বলেন, রাস্তার জন্য শিক্ষার্থী কম থাকে। এ ব্যাপারে শিক্ষকদেরও কিছু বলা যায় না। কারণ তারাও অসহায়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সালমা আক্তার বলেন, উপজেলা পরিষদের আগামী মাসিক সমন্বয় সভা ও শিক্ষা কমিটির মিটিংয়ে বিষয়টি তুলে ধরে প্রতিকার চাইব।