জরাজীর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের ক্লাস

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ  ভবনেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয় কখন যেনো ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে আহত হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এই অবস্থা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (জিসিসি) লোহাকৈর এলাকার হযরত লোহা আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, জিসিসির সাবেক কাশিমপুর ইউনিয়নের লোহাকৈর এলাকায় ১৯৮৩ সালের প্রাথমিক বিদ্যালয়েটি স্থাপন করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জমি দান করে স্কুলের জন্য। ওই এলাকায় হযরত লোহা আলীর একটি মাজার রয়েছে।
তাই বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়েছে ‘হযরত লোহা আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন আগের নির্মাণ করা একটি ভবন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। শ্রেণি কক্ষগুলি তালাবন্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছে। তার পাশে ২০০৬ সালের একটি ভবন তৈরি করা হয়। সেখানেও তিনটি কক্ষ করা হয়েছিল। সেই একতলা ভবনের একটিতে অফিস কক্ষ আর অন্য দু’টি কক্ষে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও জায়গার সংকুলান না হওয়ায় সিঁড়ির জন্য রাখা একটি ছোট জায়গাতে ব্রেঞ্চ ফেলে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, স্কুলে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র তিনজন। প্রধান শিক্ষক তসলিমা জিনাত, সহকারী শিক্ষক কামরুন নাহার ও আসমা আক্তার। বর্তমানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্য প্রায় ৩শ’। এতো সমস্যা থাকা সত্বেও গত পিএসসি পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।