কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: নবজাতক থেকে শুরু করে সাত বছর বয়স পর্যন্ত, বাবা-মায়ের পরিচয়হীন এমন শিশুদের লালনপালন করা হয় ছোটমণি নিবাস ই। এটি সমাজসেবা অধিদফতরের একটি প্রতিষ্ঠান। সারা বাংলাদেশে রয়েছে এর ছয়টি সেবাদান কেন্দ্র। তারমধ্যে একটি চট্টগ্রামের রৌফাবাদে। ১৯৮৪ সালে রৌফাবাদে গড়ে ওঠে কেন্দ্রটি। এটি এখন হাজারো শিশুর মুখে হাসি ফোটাচ্ছে।
ছোটমণি নিবাসেই ওদের বেড়ে ওঠা, পড়ালেখা, স্বপ্ন দেখার একমাত্র স্থান। কোথা থেকে এসেছে আবার ১৮ বছর পর কোথায় যাবে, সে প্রশ্নেরও উত্তর এখনো জানে না তারা। তবুও তারা শপথ করছে, গাইছে সোনার বাংলার গান।
ছোটমণি নিবাসে দুপুরে খাবার টেবিলে সুশৃংখল পরিবেশে খাবার খায় সবাই। শুধু খাবার টেবিলেই নয় ক্লাসেও একই পরিবেশ তাদের। ছোটমণি নিবাসের শ্রেণিকক্ষে গিয়ে দেখা গেছে, এক মনোরম পরিবেশ। সবাই দাঁড়িয়ে সালাম দিল। রঙিন পেন্সিল দিয়ে কত কিছু আঁকছে তারা! কিন্তু তাদের জীবনের রঙিন ছবি আঁকতে পারছে না এখনো।
তিনি জানান, ১৯৮৪ সালে নির্মিত হয় ছোটমণি নিবাসটি। এরপর কত শিশু এসেছে গেছে। কিন্তু পরিবর্তন হয়নি ছোটমণি নিবাসের জরাজীর্ণ ভবনটির। এখানকার শৌচাগারগুলোর অবস্থা একেবারেই নাজুক। এগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অনেক আগেই। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এখানকার শিশুরা।