কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: তিন বছর বয়সী সেভেন কং-এর সবচেয়ে কাছের বন্ধু ‘বেনকিউ’ নামের ছোট আকৃতির একটি রোবট। তারা একসঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটায়। বেনকিউকে একের পর এক প্রশ্নে জর্জরিত করে চলে সেভেন। ‘কেমন আছো বেনকিউ?’ ‘আজ তুমি কি খেয়েছ?’ ‘পাখিরা আকাশে ওড়ে কীভাবে?’ এমন হাজারও প্রশ্নে একটুও বিরক্ত হয়না বেনকিউ। সহজ-সরল ভাষায় প্রতিটি প্রশ্নেরই উত্তর দেয় সবুজ রঙের রোবটটি। এমনকি ডিসপ্লেতে বিভিন্ন ইমোজির সাহায্যে মুখভঙ্গিও ফুটিয়ে তোলে যন্ত্রটি।
জানা যায়, শিশুদের শিক্ষায় সহায়তা এবং অভিভাবকদের দায়িত্ব ভার কিছুটা লাঘবের কথা মাথায় রেখে রোবট বেনকিউকে প্রোগ্রামিং করেছে নির্মাতারা।
বেইজিংয়ে বসবাসকারী সেভেনের কর্মজীবী মা ৩৩ বছর বয়সী লিউ কিয়ান বলেন, আমরা যখন কাজে খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়ি, তখন বেনকিউ আমাদের সন্তানকে সঙ্গ দেয়।
তিনি জানান, তিন বছর বয়সী শিশুর সঙ্গে আলাপচারিতা চালিয়ে যেতে রোবট বেনকিউয়ের কোনো সমস্যাই হয়না। কেবল ভয়েজ রিকগনিশনের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে একটু সমস্যা দেখা দেয়।
বর্তমান বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবট নির্মাণে অন্যতম শীর্ষে রয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো। শিশুদের জন্য শিক্ষাসহায়ক রোবটিক ডিভাইসগুলো সেখানে ব্যাপক জনপ্রিয়। চীনা ই-কমার্স সাইট টি-মলের প্রায় ৬৫ পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে এধরনের শিক্ষাসহায়ক রোবটিক পণ্য।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এই গ্যাজেটগুলো শিশুদের শিক্ষার জগতকে আরও বিস্তৃত করে, এমনটাই দাবি অনেক চীনা অভিভাবকের। তাছাড়া এগুলোর সাহায্যে সন্তানকে আরও ভালোভাবে দেখভাল করা যায় বলে অভিমত দেন অনেকে। বেনকিউয়ের কথাই ধরা যাক, এই রোবটে ‘রিমোট বেবি সিটিং’ নামে আলাদা একটি ফিচার আছে যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিশুদের ছবি তুলে অনলাইনে অভিভাবকের কাছে পাঠাতে থাকে।