কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: (কিশোরগন্জ প্রতিনিধি) গত ১৯শে জুলাই ঘোষিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কিশোরগঞ্জ জেলার ৫৬টি কলেজের মধ্যে মাত্র ১১টি কলেজ থেকে ১১১জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। চা বিক্রি করে অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর একাগ্রতার মাধ্যমে এই ১১১জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন রনি মিয়া।
রনি করিমগঞ্জ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের কৃতি শিক্ষার্থী রনি মিয়া করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পাতারিয়াপাড়া গ্রামের মোহা. বুলবুলের ছেলে। বুলবুল পেশায় একজন চা বিক্রেতা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রনির পিতা বুলবুলের শিমুলতলা বাজারে একটি চায়ের দোকান রয়েছে। ছেলে রনি মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে মোহাম্মদ বুলবুল তার চায়ের দোকানটি চালিয়ে আসছেন। রনি মিয়া নিয়মিত তাদের চায়ের দোকানে কাজ করার পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এভাবে পরিশ্রম, একাগ্রতা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে রনি এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
রনির এই কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল যেন তাদের আঁধার ঘরে আলোর রোশনাই ছড়িয়ে দিয়েছে। আত্মীয়স্বজনসহ এলাকাবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন রনি মিয়া। রনির অসাধারণ এই ফলে উচ্ছ্বসিত তার বাবা-মা।
রনি মিয়া জানান, বিগত প্রায় নয় বছর যাবত বাবা মোহা. বুলবুলের সাথে রনি চায়ের দোকানে কাজ করে আসছেন। এর মধ্যেই তিনি লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন। এসএসসি পরীক্ষায় অল্পের জন্য জিপিএ-৫ বঞ্চিত হন তিনি। এতে আশাহত হলেও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য তিনি ব্যাপক প্রস্তুতি নেন। পরীক্ষায় ভালো হওয়ায় জিপিএ-৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। ফলাফল প্রকাশের পর জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের কাতারে নিজের নাম দেখে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত হয়েছেন রনি মিয়া।