চাকরি পেলেন সেই রূপার ছোট বোন পপি

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানিতে চাকরি পেলেন টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার রূপার ছোট বোন পপি খাতুন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মঙ্গলবার কোম্পানির সদর দফতরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. এহসানুল কবির জগলুল অফিস সহকারী পদে এ নিয়োগপত্র পপির হাতে তুলে দেন। এ সময় রূপার বড় ভাই হাফিজুল ইসলাম, কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সেলিম ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. নূরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের  তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিত চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রূপার মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিম রূপার বাড়িতে সমবেদনা জানাতে গিয়ে ছোট বোন পপিকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী  এ নিয়োগপত্র দেয়া হলো।
রূপার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদারতায় ও মহানুভবতায় রূপার মা হাসনা হেনা (৬৩) পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিমের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মেয়ে হারানোর বেদনা মুছে দিতে সরকারের পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তাতে আমরা অভিভূত। এ সময়  তিনি পরিবারের পক্ষ থেকে আবারও দ্রুত বিচার আইনে রূপা হত্যার বিচার দাবি করে তার জীবদ্দশায় হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে চান।
রূপার বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।তারা তিন বোন, দুই ভাই। গত ২৫ আগস্ট টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন রূপা খাতুন।
গত ১ সেপ্টেম্বর রূপার পরিবারকে সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানাতে আয়োজিত স্মরণ এবং শোকসভায় যোগদান করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিম তার বোনকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।