কৃত্রিম পা পেল সিরীয় সেই শরণার্থী শিশু

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: মায়া মেরহি নামে সিরীয় আট বছর বয়সী শরণার্থী শিশুটির টিনের কৌটা লাগানো পায়ে ভর দিয়ে হাঁটার মর্মস্পর্শী দৃশ্য সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে অনেকেই তাকে সহানুভূতি দেখান।
তার চিকিৎসায় আগ্রহও দেখায় বিভিন্ন মহল। প্লাস্টিকের কৃত্রিম পা সংযোজনের জন্য গত সপ্তাহে প্লেনে করে তুরস্কে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর আলজাজিরার। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে আলেপ্পোয় তাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় তার পরিবার। পরিবারটি বর্তমানে ইদলিবের একটি শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে।
পা ছাড়াই জন্মগ্রহণ করে মায়া মেরহি। তার বাবাও জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তীব্র গরম এবং মাটির ওপর ছড়িয়ে থাকা ধুলো-ময়লা থেকে রক্ষা করার জন্য মায়ার বাবা মুহাম্মদ পুরনো টিউব আর টুনা মাছের টিনের কৌটা দিয়ে এটি তৈরি করে দিয়ে ছিলেন।
সেটি পা ব্যবহার করে মায়া তার তাঁবুর বাইরে হাঁটতে সক্ষম ছিল এবং এমনকি ক্যাম্পের স্কুলেও যেত। তার দুর্দশার ছবি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে তুর্কি রেড ক্রিসেন্ট তার সাহায্যে এগিয়ে আসে এবং পা সংযোজনের জন্য বাবা ও মেয়েকে শরণার্থী শিবির থেকে বিমানযোগে ইস্তানবুল নিয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ড. মেহমেদ জেকি কুলকু জানান, ভালোভাবে হাঁটা শিখতে তার তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
গত মার্চে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গৃহযুদ্ধের কারণে অন্তত ৮৬ হাজার লোক তাদের অঙ্গ হারিয়েছেন।