কিশোর বাংলা’র ঈদুল আজহা (জুলাই) সংখ্যা, ২০২০ এখন অনলাইনে

কিশোর বাংলা প্রতিবেদনঃ বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে শিশুকিশোরদের জন্য কিশোর বাংলা’র ঈদুল আজহা (জুলাই) সংখ্যা, ২০২০ অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে।

কিশোর বাংলা’র ওয়েবসাইট www.kishorebangla.com -এ ১১ই জুলাই, ২০২০ হতে সকলে বিনামূল্যে পড়তে পারছে এই সংখ্যাটি। বর্তমান কোরোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও সংক্রমণের কারণে পাঠকদের জন্য ঘরে বসেই কিশোর বাংলা’র এই ঈদুল আজহা (জুলাই), ২০২০ সংখ্যাটি পড়ার সুযোগ তৈরির জন্যই এই উদ্যোগ।

বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি হলে কিশোর বাংলা’র অফিসে যোগাযোগ করলে মুদ্রিত সংখ্যাটি পাঠিয়ে দেয়া হবে গ্রাহকের ঠিকানায়।

কিশোর বাংলা-র ঈদুল আজহা (জুলাই) সংখ্যা, ২০২০  এসেছে আরও বর্ধিত কলেবরে। এই  সংখ্যায় উপন্যাস লিখেছেন আহসান হাবীব, প্রশান্ত ভৌমিক প্রমুখ। গল্প লিখেছেন শাহজাহান কিবরিয়া, নাসরীন মুস্তাফা, ইনাম আল হক, আব্দুল হাই মিনার, দেবাশিষ ভট্টাচার্য, মাসুদ আনোয়ার, দেবব্রত মুখোপাধ্যায়, কবির কাঞ্চন, আনওয়ার এম হুসাইন সহ আরও অনেকে। ছড়া লিখেছেন দেলওয়ার বিন রশিদ, আবু মুসা চৌধুরী, এয়াকুব সৈয়দ, মহীবুল আজিজ, হোসনে আরা হেনা, সালাম মশরুর, হুমায়ুন কবীর ঢালী প্রমুখ। এছাড়াও আছে সুজন বড়ুয়ার বর্ষা রচনা, ডঃ সজল আশফাকের স্বাস্থ্য রচনা সহ নিয়মিত অনেক বিভাগ।  আরও থাকছে সত্যজিৎ বিশ্বাসের নতুন একটি রম্য বিভাগ ‘বাংলার হাসি’ এবং মোস্তফা মামুনের রচনা ও সব্যসাচী চাকমার আঁকায় নতুন গ্রাফিক নভেল। বিভিন্ন বিষয়ে অনেক তথ্যবহুল সব প্রবন্ধ তো থাকছেই।

কিশোর বাংলা’র সম্পাদক মীর মোশাররেফ হোসেন সকলকে ঈদ-উল-আজহার আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে শিশুকিশোরদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমরা সবাই করোনাভাইরাসের কারণে একটা কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। তাই, এবারের কোরবানির ঈদটা রোজার ঈদের মতোই অত্যন্ত সতর্কভাবে পালন করতে হবে। আমরা সবাই কোরবানির ঈদের জন্য অনেক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি। এসময়ে অনেক সুন্দর সুন্দর পশু দেখা যায়। কোরবানি কিন্তু শুধু গোশত খাবার জন্য দেয়া হয় না। বরং নিজের ভেতরের সকন খারাপকে ধুয়ে মুছে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ভালোত্বকে জাগ্রত করাই এর মুল উদ্দেশ্য। তাই তোমাদের যাদের পরিবারে কোরবানি হবে তারা অবশ্যই দরিদ্র মানুষ, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশিদের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিবে। “

তিনি আরও বলেন, “এবার কিন্তু অনেক সতর্ক থাকতে হবে। বাবার সাথে পশুর হাটে যাবার জিদ তো করবেই না বরং বড়দেরকেও হাটে না গিয়ে অনলাইনে পশু কিনতে অথবা গ্রামের বাড়িতে আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে কোরবানি করতে উৎসাহিত করো। আর যারা নিজ বাড়িতেই কোরবানি করবে, তারাও যতোটা সম্ভব সতর্ক থাকবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখবে। যদি এখন আমরা একটু সতর্ক হই, তাহলে আগামীর ঈদগুলো অনেক সুন্দর হবে।”

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এখন বর্ষাকাল চলছে। বৃষ্টি দেখতে, বৃষ্টিতে ভিজতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি। বর্ষা আমাদের মনে অন্যরকম একটা ভালোলাগা সৃষ্টি করে। তবে এসময়ে কিন্তু নানা অসুখবিসুখ হতে পারে। তাই, একটু নিজের দিকে খেয়াল রেখো।”

তিনি অবসরের এই সময়টায় শিশুকিশোরদের সৃজনশীল কাজে ব্যাস্ত থাকার পাশাপাশি করোনাভাইরাস থেকে সতর্ক থাকার উপরে বারে বারে জোর দেন।

কিশোর বাংলা’র ঈদুল আজহা (জুলাই) সংখ্যা, ২০২০ অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে সাইদা করবী জানান, “কিশোর বাংলার এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমার বাচ্চারা এই লম্বা অবসরে আর কাউকে পাশে না পেলেও কিশোর বাংলা’কে পাশে পেয়েছে।“

মুন্সীগঞ্জ থেকে দেলোয়ার হোসেন বলেন, “কিশোর বাংলা সবকিছু ছুটি থাকলেও, বানিজ্যিক কোন লাভ না থাকলেও সবকটি সংখ্যাই অনলাইনে প্রকাশ করেছে এবং বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এমনকি বড় মাপের ঈদুল ফিতর সংখ্যার পাশাপাশি এখন ঈদুল আজহারও বর্ধিত সংখ্যা বের করেছে। যেখানে অন্য অনেক প্রকাশনাই ছিল বন্ধ। আমার বাচ্চাদের এখন সবচেয়ে প্রিয় কিশোর বাংলা।“

বর্তমান সময়ের প্রয়োজনে অনলাইনে প্রকাশ ও বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ করে দেয়ার কিশোর বাংলা’র এই উদ্যোগকে শিশুকিশোর, অভিভাবক, লেখক, সাহিত্যিকসহ সকলেই সাধুবাদ জানান।