কিশোরবাংলাপ্রতিবেদন: সিলেটে গোয়াইনঘাটে রাসেল আহমদ নামে এক কিশোরকে চুরির অপবাদে পাশবিক নির্যাতনের পর মাদক মামলায় পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতনের একাধিক ভিডিওচিত্র ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ায় টনক নড়েছে প্রশাসনের। গ্রেপ্তার করা হয়েছে নির্যাতনকারী ইসবর আলীকে।
গত ২৯ অক্টোবর সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার মানাউড়া পূর্বপাড়া গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আলম।
তিনি জানান, একটি কিশোরকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে।
এ ঘটনা তদেন্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু হাসনাত খানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের দুটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, মাটিতে পড়ে আছে এক কিশোর। দুই হাত ও পা একত্র করে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় তাকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পেঠাচ্ছেন একজন।
যিনি এভাবে পেটাচ্ছিলেন, তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা ইসবর আলী (৬৫) বলে এলাকার কয়েকজন নিশ্চিত করেছেন।
পরদিন ৩০ অক্টোবর স্থানীয় সালুটিকর তদন্ত কেন্দ্রে কিশোরটির বিরুদ্ধে মাদক মামলা করে তাকে সিলেটে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল বলেন, ছেলেটির বিরুদ্ধে মাদক আইনে করা মামলার বাদী সালুটিকর দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক সুশংকর পাল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়াইনঘাট থানার উপ-পরিদর্শক পীযূষ কান্তি দাস।
এজাহার অনুযায়ী, ওই দিন (২৯ অক্টোবর) একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ইয়াবা বিক্রির সময় তাকে পুলিশ ১২টি ইয়াবাসহ আটক করে। এ সময় গ্রামের আজিজুর রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল্লাসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বাদী ও সালুটিকর পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ সুশংকর পাল জানান, ওই দিন স্থানীয় কয়েকজন লোক ইয়াবাসহ তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এলাকাবাসী সাক্ষী হওয়ায় মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে। এর আগে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণের বিষয়টি তিনি জানতেন না বলে দাবি করেন।