আজ সাহিত্যমনীষী সেলিনা হোসেনের ৭৬তম জন্মদিন

কিশোর বাংলা প্রতিবেদনঃ আজ ১৪ই জুন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় শিশু কিশোর পত্রিকা ‘কিশোর বাংলা’-এর প্রধান উপদেষ্টা সম্পাদক, বাংলা একাডেমির বর্তমান সভাপতি, বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক, সাহিত্যমনীষী সেলিনা হোসেন-এর ৭৬তম জন্মদিন। কথাসাহিত্যের পাশাপাশি শিশু সাহিত্যিক হিসেবেও বিশেষভাবে খ্যাতিমান এই শক্তিমান লেখক।

সেলিনা হোসেনের জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৪ জুন রাজশাহী শহরে। তবে তাঁর শৈশব কেটেছে বাবার কর্মস্থল বগুড়ায়। উন্মুক্ত প্রকৃতির মাঝে বেড়ে ওঠা সেলিনা হোসেন শৈশবে ছিলেন দুরন্ত ও অবাধ স্বাধীন। ১৯৬৪ সালে রাজশাহীর আন্তঃবিভাগীয় সাহিত্য প্রতিযোগিতায় গল্প লিখে চ্যাম্পিয়ন খেতাবে স্বর্ণপদক অর্জন করেন তিনি।

সেলিনা হোসেন ১৯৭০ সালের জুলাইয়ে বাংলা একাডেমির গবেষণা সহকারী হিসেবে শুরু করেন তাঁর কর্মজীবন। ১৯৯৭ সালে বাংলা একাডেমির প্রথম মহিলা পরিচালক হন তিনি। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ১৪ জুন এ পদ থেকে অবসরে যান। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দুই মেয়াদে দক্ষতা ও কৃতিত্বের সাথে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেরও সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ ও ‘পোকা মাকড়ের ঘর বসতি’ -এর মতো জনপ্রিয় উপন্যাসের লেখিকা সেলিনা হোসেনের বহু উপন্যাস, গল্পগ্রন্থ, কবিতাগ্রন্থ, শিশুতোষগ্রন্থ ও প্রবন্ধগ্রন্থ রয়েছে। এ ছাড়াও তিনি নারী অধিকার বিষয়ক বেশ কিছু প্রামাণিক ও গবেষণা রচনা ও সম্পাদনা করেছেন।

বাংলা সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য তিনি দেশে-বিদেশে প্রচুর সম্মাননা অর্জন করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ড. মুহম্মদ এনামুল হক স্বর্ণপদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, কামার মুশতারি স্মৃতি পুরস্কার, ফিলিপস্ সাহিত্য পুরস্কার, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার, রামকৃষ্ণ জয়দয়াল এওয়ার্ড, সুরমা চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার, সাহিত্য আকাদেমি থেকে প্রেমচাঁদ ফেলোশিপ ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট উপাধি।

জন্মদিনে এই খ্যাতনামা লেখককে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে ‘কিশোর বাংলা’-র সম্পাদক মীর মোশাররেফ হোসেন বলেন, “আমরা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র সেলিনা হোসেন আপাকে জন্মদিনে জানাই অনেক অনেক শুভকামনা ও অভিনন্দন। আমরা ‘কিশোর বাংলা’ পরিবার তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। বাংলা সাহিত্যকে তিনি তাঁর মেধা, প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও শক্তিমান লেখনী দিয়ে আরও বহুদূর নিয়ে যাবেন এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের শিশুকিশোররা তাঁর লেখনীর হাত ধরেই লাভ করবে সৃজনশীল সত্ত্বা।“

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের কথাসাহিত্য ও শিশুসাহিত্য তাঁর কাছে হয়ে থাকবে চিরঋণী। ‘কিশোর বাংলা’ -য় তাঁর সম্পৃক্ততা আমাদের জন্য এক বিশাল অর্জন ও পাঠকদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।“

জন্মদিনে প্রিয় এই লেখককে জানাচ্ছি অনেক শুভকামনা ও অভিনন্দন।