কিশোর বাংলা প্রতিবেদন : দেশব্যাপী একযোগে ৬৪টি জেলায় আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে চার দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ শিশু চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৭’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এ উৎসব চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক-মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি গঠনে বিশেষত শিশুদের সৃজনশীল করে গড়ে তুলতে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অপরিসীম। চলচ্চিত্রের সেই গুরুত্ব অনুধাবন করেই শিল্পকলা একাডেমি এ উৎসবের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন শিল্পী মুস্তাফা মানোয়ার, চলচ্চিত্র সংগঠক মুনিরা মোরশেদ মুন্নি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক মো. বদরুল আনম ভূঁইয়া।
শিশু চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষে গঠিত সাত সদস্যবিশিষ্ট সিলেকশন কমিটি উৎসবে শিশুতোষ ও শিশু নিমার্তাদের তৈরি ৪০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য মনোনীত করেছেন। শিশুতোষ চলচ্চিত্র ও শিশু নির্মাতাদের চলচ্চিত্র উভয়ক্ষেত্রে পৃথকভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি পুরস্কার প্রদান করা হবে।
‘শিশুতোষ চলচ্চিত্রে’র ক্ষেত্রে ক্রেস্ট ও সনদ পত্রের পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারের অর্থমূল্য থাকবে ১ লক্ষ টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ৫০ হাজার টাকা ও বিশেষ জুরি পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা এবং ‘শিশু নির্মাতা’দের চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারের অর্থমূল্য থাকবে ৫০ হাজার টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ৩০ হাজার টাকা ও বিশেষ জুরি পুরস্কার ২০ হাজার টাকা। এছাড়া সমাপনী দিনে উৎসবে অংশগ্রহণকৃত চলচ্চিত্রের সকল নির্মাতাদের সনদপত্র প্রদান করা হবে।
উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি থাকবে ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে ‘চলচ্চিত্র অনুধাবন’ শীর্ষক বিষয়ক কর্মশালা। এছাড়া ২৯ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় জাতীয় নাট্যশালার সম্মেলন কক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম।