কিশোর বাংলা প্রতিবেদন : সারা দেশে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কেন্দ্রে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে ২০১৮ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ বৃহস্পতিবার থেকে একযোগে শুরু হচ্ছে, যাতে এবার অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ জন শিক্ষার্থী।
আট সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আজ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত।
এবার ১০টি বোর্ডের তিন হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৮ হাজার ৫৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
সাধারণ আট বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ জন। এখানে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। এছাড়া দাখিলে পরীক্ষার্থী রয়েছে দুই লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ জন। এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৬৯ জন।
গতবছর এসএসসি ও সমামানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে দুই লাখ ৪৫ হাজার ২৮৬ জন।
এবারের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র; ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার বিদেশের আটটি কেন্দ্রে থেকে ৪৫৮ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। এরপর আর কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। কেন্দ্র সচিব ব্যতিত অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা যায় না, এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা ২য় পত্র এবং ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরণের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা প্রদানের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।