অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় ফুটবলার সাবিনা আর নেই
কিশোর বাংলা প্রতিবেদন : জ্বরের কাছে হেরে গিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্য কলসিন্দুরের সাবিনা খাতুন মারা গেছেন। দু’দিন ধরে জ্বরে ভোগার পর আজ মঙ্গলবার হাসপাতালে নেয়ার পথে বেলা সোয়া ৩টার দিকে এই কিশোরী ফুটবলার মারা যান।
কলসিন্দুরের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন। ময়মনসিংহের যে এলাকার মেয়েরা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বের বুকেও বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে, সেই সাবিনা ইয়াসমিনই কি না সামান্য জ্বরের কাছে হেরে গেলেন! বিদায় নিলেন এই নশ্বর পৃথিবী থেকে! চলে গেলেন না ফেরার দেশে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)!
অনূর্ধ্ব-১৫ দলের ফুটবলার ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন। কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। কিন্তু অনেক লড়াইয়ের পরও পারলেন না নিজেকে জয়ী করতে। শেষ পর্যন্ত আজ দুপুরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন উঠতি এই ফুটবল কন্যা।
জ্বরে ভুগলেও আজ দুপুরের দিকে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকলে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অথচ আগামীকালই তার অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেয়ার কথা ছিল। জ্বরের কাছে হেরে, সেই ক্যাম্পেই আর যোগ দেয়া হলো না তার।
কলসিন্দুরের পাশের গ্রাম রাণীপুরে বাড়ি সাবিনার। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা গোল্ডকাপ ফুটবলে কলসিন্দুরের হয়ে খেলেছিল অনূর্ধ্ব-১৫ দলের এই ফুটবলার। কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মার্জিয়া-সানজিদাদের মতো তারও স্বপ্ন ছিল বয়সভিত্তিক ফুটবলে এগিয়ে চলার। কিন্তু জগতের নিষ্ঠুর নিয়মে মাত্র ১৪ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে পারি দিতে হলো অন্যপারে।
তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সংস্থাটির সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শোক প্রকাশ করেছেন সাবিনার মৃত্যুতে।
সাবিনার স্কুল কোচ মফিজুদ্দিন বলেন, গত দুদিন ধরেই সাবিনার জ্বর ছিল। ক্যাম্প শুরু না হওয়ায় সে ছুটিতে বাড়িতেই ছিল। দুপুরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
<
p style=”text-align: justify;”>ডিসেম্বরেই হয়তো বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যেত সাবিনাকে। অনূর্ধ্ব-১৮ মহিলা দলের সঙ্গে অনুশীলন ক্যাম্পও করেছিল সে, যেটা ছিল সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি। হলো না কিছুই; মাঠের ফুটবল শুধু নয়, পৃথিবীকেই বিদায় জানিয়ে চলে গেল সে না ফেরার দেশে।