অনলাইন সুরক্ষা পাবে ১২ লাখ শিশু-কিশোর

কিশোর বাংলা প্রতিবেদনঃ বাংলাদেশে ২০২১ সালের মধ্যে ১২ লাখ শিশু-কিশোরকে অনলাইন সুরক্ষার আওতায় আনা হবে। শিশুদের জন্য অনলাইন সুরক্ষার মাত্রা আরো জোরদার করতে গ্রামীণফোন, টেলিনর গ্রুপ ও ইউনিসেফ যৌথভাবে কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ বিষয়ে গ্রামীণফোন, টেলিনর গ্রুপ ও ইউনিসেফের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে।

ইউনিসেফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শিশুদের জন্য অনলাইন সুরক্ষার মাত্রা বাড়ানো ও জোরদার করতে এ প্রকল্পের আওতায় ১২ লাখ শিশু-কিশোরকে অনলাইনে নিরাপদ থাকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অভিভাবকদের সংবেদনশীল করে তোলাও এ প্রকল্পের লক্ষ্য। শিশুদের অনলাইন সুরক্ষায় সহায়তা দিতে এ প্রকল্পের আওতায় ৪ লাখ বাবা-মা, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

একটি সমন্বিত যোগাযোগ প্রচারাভিযানের মাধ্যমে প্রকল্পটি ২ কোটি মানুষের কাছে যাবে এবং সহায়ক পদক্ষেপ গ্রহণে অন্তত ৫০ হাজার মানুষকে সম্পৃক্ত করবে।

ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ ডারা জনস্টন বলেন, আমরা আশা করি, এই অংশীদারিত্ব শিশুর অনলাইন সুরক্ষা সম্পর্কে বাস্তবসম্মত পরামর্শগুলোর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করবে এবং এগুলো বাংলাদেশের শিশুদের জন্য শিক্ষার অন্যতম অংশ হয়ে উঠবে।

গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার ওলে বিয়র্ন বলেন, আমরা চাই, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম ইন্টারনেট বিষয়ে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হোক ও যথাযথ জ্ঞান রাখুক। শিক্ষা গ্রহণে তাদের ইন্টারনেটের সুবিধা গ্রহণ, স্মার্ট হওয়া ও নিজের হৃদয়কে ব্যবহারে এর গুরুত্ব বুঝুক।

টেলিনর গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনীষা ডগরা বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১০ নম্বর লক্ষ্য বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে আমাদের বৈশ্বিক অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে ২০২০ সালের মধ্যে যেসব দেশে আমাদের কার্যক্রম রয়েছে সেসব দেশে ৪০ লাখ শিশুকে অনলাইনে শিশুর নিরাপত্তার বিষয়ে শিক্ষিত করে তুলতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।