অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে কিশোর বাংলা’র জুলাই, ২০২১ সংখ্যা, পাওয়া যাবে ছাপা কপিও
কিশোর সংবাদ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউনের মধ্যেও দেশের শিশু কিশোরদের প্রিয় পত্রিকা কিশোর বাংলা হাজির হয়েছে জুলাই, ২০২১ সংখ্যা নিয়ে। বর্তমান বিধিনিষেধের মধ্যে পাঠকদের সুবিধার্থে সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়েছে অনলাইনে। কিশোর বাংলা’র ওয়েবসাইট www.kishorebangla.com – এ গিয়ে তোমরা সংখ্যাটি ডাউনলোড করে পড়া যাবে। লকডাউনের পর পাওয়া যাবে সংখ্যাটির মুদ্রিত কপিও।
লকডাউনের পরে কিশোর বাংলা’র অফিসে যোগাযোগ করে সবাই সংগ্রহ করতে পারবে মুদ্রিত কপিটি। এছাড়া www.rokomari.com থেকেও লকডাউনের পরে মুদ্রিত কপিটি সংগ্রহ পাওয়া যাবে। আর কিশোর বাংলা’র বাৎসরিক গ্রাহকদের কাছে লকডাউনের পরে কপিটি কুরিয়ারে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
পাঠক, অভিভাবক ও লেখকবৃন্দসহ অনেকেই কিশোর বাংলা’র এই উদ্যোগ ও আয়োজনের প্রশংশা করেন। রাজধানীর বাসাবোর বাসিন্দা নূরজাহান মুন্নী বলেন, “করোনার এই ভয়াবহ সময়ে অনলাইনে কিশোর বাংলা প্রকাশ করার এই উদ্যোগ খুবই আনন্দের। বাচ্চারা এখন হাতের মুঠোতেই পাবে তাদের প্রিয় পত্রিকা।”
উত্তরার কিশোর ওয়াসিফ কিশোর বাংলা’র জুলাই, ২০২১ সংখ্যাটি অনলাইনে পেয়ে খুব খুশী। সে বলে, “লকডাউনের পরে প্রথমেই ছাপা সংখ্যাটিও সংগ্রহ করবো।”
ময়মনসিংহের গৌরীপুর থেকে সজল দত্ত বলেন, “গত বেশ কিছু দিন ধরে আমি বা আমার ছেলেমেয়েরা কেউ ঘর থেকে বের হতে পারছি না। কিশোর বাংলা আমার সন্তানদের প্রতি মাসেই পড়াই চাই। অনলাইনে কিশোর বাংলা’র জুলাই, ২০২১ সংখ্যাটি প্রকাশ করায় আমরা অনেক খুশী। কিশোর বাংলার সম্পাদক ও পুরো টীমকে ধন্যবাদ।”
কিশোর বাংলা’র জুলাই, ২০২১ সংখ্যার প্রতিপাদ্য ‘বর্ষা’। এই সংখ্যায় ইমদাদুল হক মিলনের ধারাবাহিক উপন্যাসের পাশাপাশি রয়েছে অনীশ দাস অপুর নতুন ধারাবাহিক হরর উপন্যাস। প্রছদ রচনা লিখেছেন এস এইচ মঈন। প্রচ্ছদ এঁকেছেন কিশোর বাংলার শিল্প সম্পাদক মামুন হোসাইন।
এই সংখ্যায় বর্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ছড়া-কবিতা লিখেছেন আমীরুল ইসলাম, চন্দনকৃষ্ণ পাল, জসীম ওমর, বেণীমাধব সরকার, হুমায়ুন আবিদ, ইকবাল বাবুল, রবিন দাস, গিয়াস উদ্দিন রুপম, সনজিত দে, সুবর্ণা দাশ মুনমুন, ওয়াহিদ ওয়াসেক, মহিউদ্দিন বিন্ জুবায়েদ, আবদুল আলীম তালুকদার, আনওয়ারুল কবীর বুলু, জাহাঙ্গীর আলম জাহান, সুব্রত চৌধুরী, সৈয়দ আল ফারুক, সিরাজুল ফরিদ, সজল আশফাক, মোশতাক আহমেদ, শঙ্খশুভ্র পাত্র, হাসনাত আমজাদ, শেখ সালাহ্উদ্দীন, ডাঃ কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মেহেদী ও আহসানুল হক। গল্প লিখেছেন মাহবুব রেজা, সারওয়ার-উল-ইসলাম, মোস্তাফিজুল হক, আলী আসকর ও প্রণব মজুমদার।
এই সংখ্যায় আরও রয়েছে আহসান হাবীবের কমিক্স, মোস্তফা মামুনের লেখা ও সব্যসাচী চাকমার আঁকায় গ্রাফিক নভেল, সাইফুল ইসলাম জুয়েলের লেখা ও সৈয়দ ইরফান আহমেদের আঁকায় ধারাবাহিক কমিক্সের নতুন পর্ব। বিভিন্ন বিষয়ে লিখেছেন দেবাশিস ভট্টাচার্য, ডাঃ সজল আশফাক, তারিক মনজুর, মোস্তফা মামুন, অরুণ কুমার বিশ্বাস, মঈনুল হক চৌধুরী, রাজীব দত্ত, মিলা মাহফুজা, শফিক হাসান, অমিত কুমার কুণ্ডু, মনোয়ারুল ইসলাম, মুহাম্মদ সাইজু, প্রশান্ত ভৌমিক, সামীউর রহমান, বিনয় দত্ত, শিমুল শাহিন, আল সানি, মোঃ সাদেকুল হক, গোলাম মোর্শেদ সীমান্ত, সাত্যকি দত্ত, অর্পণ দে, মামুন আল সানি ও রোথিকা রোহিনী।
‘বাংলার হাসি’ বিভাগে লিখেছেন পার্থ দেবনাথ, খন্দকার আলী কাওসার, পরাগ আহমেদ, শচীন্দ্র নাথ গাইন। কোলাজ ও কার্টুন এঁকেছেন আব্দুল্লাহ আল মারুফ, আরিফ ইকবাল ও মানিক বর্মন। এছাড়াও রয়েছে ‘ওই নতুনের কেতন উড়ে’ আর ‘সকাল বেলার পাখি’ বিভাগ দুটো।
কিশোর বাংলা’র সম্পাদক ও প্রকাশক মীর মোশাররেফ হোসেন শিশুকিশোরদের উদ্দেশ্যে ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আর কিছুদিন পরেই কোরবানির ঈদ। ঈদের আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি মনে রাখতে হবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেক বেশিই বেড়ে গেছে। তাই তোমরা তোমাদের বন্ধু ও পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে করোনা প্রতিরোধে সকল প্রকার সতর্কতাগুলো মেনে চলো। আর ঈদের আনন্দে অবশ্যই ভাগীদার করে নিয়ো তোমাদের পাড়া-প্রতিবেশিসহ আশেপাশের গরিব-দুঃখী মানুষগুলোকেও। ত্যাগের মহিমায় তোমাদের ঈদটা অনেক সুন্দর হোক সেই শুভকামনা রইলো।”