সাগরে ৪৯ দিন ভেসে থাকা তরুণের গল্প

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: ইন্দোনেশিয়ার ১৯ বছর বয়সী তরুণ আলদি নোভেল আদিলাং গভীর সাগরে ভেসে ছিলেন টানা ৪৯ দিন। খেয়েছেন সমুদ্রের নোনাপানি আর লাফিয়ে ওঠা মাছ। বিবিসি, ইনডিপেনডেন্টসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ঘটনার শুরু জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে। ইন্দোনেশিয়ায় গভীর সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরার প্রথাগত একটি পদ্ধতি হলো ‘রমপং’। নোঙর ছিঁড়ে যাওয়ার পর আলদির রমপং কয়েক শ কিলোমিটার পথ ঢেউয়ের তালে তালে ভাসে। অবশেষে এই রমপং পৌঁছায় পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ অঞ্চল গুয়ামে।
মহাসাগরের সেই উপকূলীয় অঞ্চল থেকে ৩১ আগস্ট পানামার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আরপিগিও আলদিকে উদ্ধার করে। পরে ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে জাপানে পৌঁছে দেওয়া হয়। ৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস আলদিকে নিজ দেশে পাঠায়।
অজানা বিপদের মুখে পড়া আলদির এই ৪৯টি দিন কেটেছে নানা শঙ্কায়। তাঁর সঙ্গে থাকা পানি ও খাবার ফুরিয়ে যায়। কারণ তিনি যে রমপংয়ে কাজ করতেন সেখানে নিয়ম করে এক সপ্তাহের জন্য খাবার-পানি পৌঁছে দেওয়া হতো।
এর ফলে তীব্র খাবার সংকটে পড়া আলদিকে সমুদ্রের নোনা পানিই পান করতে হয়েছে। আর আমিষ হিসেবে খেতেন রমপংয়ে লাফিয়ে ওঠা মাছ। কখনো মাছ ধরার জন্য তাঁকে রমপংয়ের কক্ষটির কাঠ ভেঙে হাতুড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে হতো।