শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়ক খাবার

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: বলা হয়ে থাকে যে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ গর্ভাবস্থায়ই হয়ে যায়। কিন্তু মানুষের বিকাশ আসলে একটা চলমান প্রক্রিয়া, বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন পর্যায়ে মস্তিষ্ক বিকশিত হয়।

প্রথম কয়েক বছর শিশুর এ বিকাশ খুব দ্রুত হয়ে যায়। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়তো এ প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে সম্পন্ন হয়। মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশ নিশ্চিত করতে সুষম খাদ্যের ভূমিকা অনেক। চলুন জেনে নেই এমন সব খাদ্যের নাম আর পুষ্টিকথা-

বুকের দুধ

৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের জন্য একমাত্র সুষম খাদ্য হচ্ছে মায়ের দুধ। ২ বছর পর্যন্ত অন্য খাবারের পাশাপাশি বুকের দুধ খাওয়া চলতে থাকে। এতে রয়েছে সব ধরণের ভিটামিন, অ্যান্টিবডি, মিনারেল, ফ্যাট, প্রোটিন সবই শিশুর সুস্থ বিকাশের জন্য জরুরি। শিশুর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী, শিশুর সুস্থ বিকাশে সহায়ক।

কলা

কলা পটাশিয়ামে ভরপুর। কলা হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ উৎস আপনার শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। কলা খাওয়াতে ঝামেলাও কম। হাত ধুয়ে, আঙুল দিয়ে চটকেই শিশুকে খাইয়ে দেওয়া যায়। সব শিশুরাই কলা খেতে কম-বেশি পছন্দ করে।

শাক, লতা-পাতা

ব্রেইনের জন্য আয়রন খুবই দরকারি। লালশাক, পালংশাক, মুলাশাক, ডাটাশাক, সরিষাশাক, হেলেঞ্চাশাক, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, থানকুনি পাতা এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন, আঁশ আর নানারকম ঔষধি গুন। শিশুরা যখন সলিড খাবার খেতে শুরু করে, তখন আমরা নরম খিচুড়ি করে খাওয়াই। সঙ্গে দেই নানা রকম সবজি, শাক আর ডাল। প্রতিবার নতুন করে খিচুড়ি রান্না করার সময় এক বা দুই ধরণের শাক লতা-পাতা দিন সঙ্গে। অথবা স্যুপ করেও খাওয়াতে পারেন।

ডিম

শিশুরা ডিম খেতে খুবই পছন্দ করে। আমরা বড়রাও অবশ্য কম পছন্দ করি না। ডিমের পুষ্টিগুনেরও শেষ নেই। ডিম সহজলভ্য প্রোটিনের উৎস হিসেবে পরিচিত হলেও, এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ও লুটেইন। আর রয়েছে কোলিন যা ফুসফুসের জন্য ভালো, স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সহায়ক। ডিমের কুসুম আর সাদা অংশ, দুটোই শিশুর জন্য উপকারী।