শিশুদের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ভিটামিন ডি

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: উচ্চমাত্রায় ভিটামিন যুক্ত খাদ্যাভ্যাস শিশুদের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে। ইউনিভার্সিটি অফ ইস্টার্ন ফিনল্যান্ডের গবেষকদের করা এক গবেষণায় এরকম ফলাফলই পাওয়া গেছে।
“যেসব শিশুর ভিটামিন ডি-য়ের মাত্রা প্রতি লিটারে ৮০ ন্যানোমোলসের বেশি তাদের ‘এলডিএল’ বা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা, ভিটামিন ডি-য়ের মাত্রা প্রতি লিটারে ৫০ ন্যানোমোলসের কম এমন শিশুর তুলনায় কম। প্রতি লিটারে ৫০ ন্যানোমোলসের কম ভিটামিন ডি থাকাকে সাধারণত ভিটামিন ডি’র ঘাটতি ধরা হয়।” বলা হয় এই গবেষণায়।
‘জার্নাল অফ ক্লিনিকাল এন্ডোক্রিনোলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণার জন্য গবেষকরা ছয় থেকে আট বছর বয়সি ৫শ’ জন শিশুকে নিয়ে জরীপ চালান।
গবেষকরা বলেন, “হাড়ের ‘মেটাবলিজম’য়ের জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত জরুরি। আর ভিটামিন ডি’র ‘সেরাম’য়ের মাত্রা কম হলে শিশুর হাড়ে অপুষ্টিজনিত রোগ ‘রিকিটিস’, ‘অস্টিওম্যালেইশা’ ও ‘অস্টিওপিনিয়া’র মতো হাড়ের রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রম, ঘরের বাইরে সময় কাটানোর মাধ্যমে ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরির মাত্রা বাড়ে। উচ্চমাত্রার ‘সেরাম’ যুক্ত ভিটামিন ডি তৈরি এবং ‘প্লাজমা লিপিড’য়ের মাত্রা কমানোর সঙ্গে এগুলো গভীরভাবে জড়িত।
ভিটামিন ডি’র আদর্শ ভোজ্য উৎসগুলোর মধ্যে দুগ্ধজাত খাবার ও মাছ অন্যতম।
এছাড়াও কমলার রস, সয়া দুধ, সিরিয়াল, চিজ, ডিমের কুসুম ইত্যাদিতেও এই ভিটামিন রয়েছে। ভোজ্য উৎসের পাশাপাশি ভিটামিন সাপ্লিমেন্টও গ্রহণ করা যেতে পারে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
শিশুর খাদ্যাভ্যাসে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি ভবিষ্যতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে সহায়তা করবে বলে দাবি করেন গবেষকরা।