শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আদর্শ সম্পর্ক

কিশোর বাংলা প্রতিবেদনঃ নবজাতকদের পৃথিবীর আলো দেখার পরে বাবা-মায়ের হাত ধরে বড় হয়। ৫ বছর বয়স থেকে তাদের স্কুলজীবন শুরু হয়।ওই স্কুলজীবন থেকে তারা একটু একটু করে বুঝতে শুরু করে।

শিশুরা বৈচিত্র্যময় পৃথিবী সম্পর্কে বুঝতে শেখে শিক্ষকদের কাছে। শিক্ষকই জ্ঞানশূন্য মানবশিশুকে ভিন্ন চোখে বিশ্ব দেখতে শেখায় এবং প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।তাই শিশুদের সঙ্গে শিক্ষকের সম্পর্ক অত্যন্ত, সম্মনসূচক, বন্ধুত্বপূর্ণ ও আনন্দদায়ক হওয়া প্রয়োজন।

বাবা-মার পরে শিক্ষক

শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হবে বন্ধুর মতো। শুধু তাই নয়, আমাদের বাবা-মার অভাব অনেকটা পূরণ করে থাকেন শিক্ষক। তাই তাদের সম্মানও করতে হবে। শিক্ষকদের অবস্থান আমাদের বাবা-মার পরে।

বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক

একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে যখন শিক্ষকের ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষক হয়ে উঠে বিশ্বস্ততার জায়গা। শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রের সম্পর্কটা হবে বন্ধুর মতো। তবে এর জন্য শিক্ষকদেরও অনেকটা পরিবর্তন হতে হবে। তাহলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ হবে।

বইয়ের আলোচনার বাইরে

একজন শিক্ষককে শুধু বই পড়ালেই হবে না। বইয়ের বাইরে জ্ঞানও অর্জন করাতে হবে। শিক্ষার্থীদের ক্লাসের বাইরে কিংবা একাডেমিক কাজ ছাড়াও কথা বলার সময় দিতে হবে। শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের সময় দিলে শিক্ষার্থীরা ভালো হয়ে উঠবে।

দেয়াল ডিঙাতে হবে

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে শেয়ারের বিষয়টি বাড়াতে হবে। কোনো বিষয়ে আলোচনা করতে যেন সংকোচ না হয়, কোনো শিক্ষার্থীর সেই বিষয়গুলো শিক্ষকদের খেয়াল করতে হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে দেয়াল রয়েছে, তা বাদ দিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

সম্মান প্রদান

শিক্ষককে মান্য করা ও সম্মান প্রদান করতে হবে। শিক্ষক বন্ধুর মতো হলেও তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।এছাড়া বাবা-মায়ের মতো সম্মান করতে হবে। মনে রাখতে হবে শিক্ষকের কাছে ছাত্রদের অনেক ঋণ।

শিক্ষক দার্শনিকের মতো

শিক্ষক হচ্ছে প্রতিটি ছাত্রের কাছে দার্শনিকের মতো। একজন দার্শনিকের যে গুণগুলো থাকা দরকার তেমনি প্রত্যেক শিক্ষকের এই গুণগুলো থাকা দরকার। এসব বিষয়গুলো শিক্ষকদের মনে রাখতে হবে। এ ছাড়াও প্রত্যেক শিক্ষককে ক্লাসের বাইরে ফ্রি হতে হবে ও বেশি আন্তরিকতা গড়ে তুলতে হবে।