মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় জামালপুরের এক স্কুলেরই ৪০ কিশোর

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: একই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪০ শিক্ষার্থীর মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া শিশুযোদ্ধাদের বীরত্বের এক বিরল অধ্যায়। জামালপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার এই চল্লিশ মুক্তিযোদ্ধার তিনজনই অর্জন করেছেন চারটি রাষ্ট্রীয় খেতাব।
জামালপুর শহর থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া ইউনিয়ন। সরু পিচঢালা রাস্তার দু’পাশে বিস্তীর্ণ সবুজ। অনেকটা শান্ত পথ পাড়ি দেয়ার পর ধানুয়া কামালপুর কোÑঅপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়।
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে এই বিদ্যালয়ের প্রায় চল্লিশ শিক্ষার্থী যুদ্ধে অংশ নেয়। একই প্রতিষ্ঠানের অল্প বয়সী এতো সংখ্যক শিক্ষার্থী যুদ্ধে অংশ নেয়ার বিরল ঐতিহাসিক অধ্যায় শোনালেন যুদ্ধে যাওয়া খেতাব প্রাপ্ত শিক্ষার্থী বীরপ্রতিক ও বীরবিক্রম নুর ইসলাম।
কম বয়সে অস্ত্র হাতে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেয় তারা রণক্ষেত্রে। পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে জীবন মৃত্যুর মাঝেও নিজের দেশকে শত্রমুক্ত করতে অদম্য সাহস নিয়ে লড়াই করেন নুর ইসলাম। বিশেষ অবদানের জন্য ১১ নং সেক্টরে কমান্ডার কর্ণেল তাহেরের তত্বাবধানে  অংশ নেয়া এসব যোদ্ধার মধ্যে তিন জন বিশেষ বীরত্বের জন্য চারটি রাষ্ট্রীয় খেতাব পান।
বীরপ্রতিক মতিউর রহমান বাড়িতে কিছু না বলে পালিয়ে যান ভারতে। সেখানে প্রশিক্ষণ শেষে অস্ত্র নিয়ে সরাসরি ঝাপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এই কিশোর বীর যোদ্ধা।  
১৯৭১ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর, কামালপুরকে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত করতে অসামান্য অবদান রাখা শিশু মুক্তিযোদ্ধার নাম বশির আহমেদ বীরপ্রতিক। অসীম সাহসিকতায় মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও আত্মসমর্পনের প্রস্তাব নিয়ে সরাসরি বিদ্যালয়ে অবস্থিত পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে প্রবেশ করেন তিনি।