ভোলায় দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় কিশোর-কিশোরী সমাবেশ

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় কিশোর-কিশোরীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ভোলায় কিশোর-কিশোরী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ভোলা ইউনিটের আয়োজনে ভিটুআর প্রকল্পের সহযোগিতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
সমাবেশের শুরুতে শেয়ারিং ইভেন্ট অফ ইযুথ পিয়ার গ্রুপ শিরোনামে আলোচনা সভা, কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ভোলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি মো. আজিজুল ইসলামের সভাপত্বিতে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শংকর কুমার পাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জিয়াদ হোসেন, দৌলতখান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, ভিটুআর প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার মামুনুর রশীদ মামুন, এডমিন মো. হান্নান, এপিও মো. ইউনুস, ইউপিও মো. ইলিয়াছ শাহ, ভোলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের যুব প্রধান আদিল হোসেন তপু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর  দুর্যোগের কারণে অনেক জান ও মালের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে দুর্যোগে শিশু থেকে কিশোর-কিশোরীরা বেশি ক্ষয় ক্ষতি শিকার হয়। তাই আগামী প্রজন্মকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতন করে তুলতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায়, দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।
সমাবেশে অংশ নেয়-ভোলা সদর উপজেলার আব্দুল মান্নান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাচিয়া সাহমাদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাচিয়া মাঝের চর জুনিয়ার হাই স্কুল, দক্ষিণ রহিতা দাখিল মাদ্রাসা, দৌলতখান উপজেলার খাদিজা খানম মাধ্যামিক বিদ্যালয়, মেদুয়া বায়তুন নুর দাখিল মাদ্রাসা, প্রথম আলো জুনিয়ার হাইস্কুল।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন প্রথম আলো জুনিয়ার হাইস্কুলের লিমা বেগম, আরজু বেগম, মেদুয়া বায়তুন নুর দাখিল মাদ্রাসার নুসরাত জাহান নাজমা, কাচিয়া সাহমাদার মাধ্যমিক বিদ্যালয় মো. আল আমিন, খাদিজা খানম মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের রিতু হাসান প্রমুখ।
এসময় আয়োজক কমিটির পক্ষে জানানো হয়, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভিটুআর প্রকল্পের মাধ্যমে ভোলার ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, প্রাথমিক চিকিৎসা, দুর্যোগের সক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ নানান বিষয় সম্পর্কে শেখানো হয়।