থ্যালাসেমিয়া নিয়ে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে ২০ শিশু

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: দেশে প্রতি বছর ৭ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। এই হিসেবে থ্যালাসেমিয়া নিয়ে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে ২০ জনেরও অধিক শিশু। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা বাড়িয়ে প্রতিরোধই এ রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র পথ।
আর বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার জিনের বাহক। এর মধ্যে ৪ শতাংশ লোক থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত, বেঁচে থাকার জন্য যাদের নিয়মিত রক্ত নিতে হয়। থ্যালাসেমিয়া নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব থ্যালাসেমিয়া’ এ তথ্য জানায়।
 এ বছর বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসে সচেতনতা বাড়াতে তাই বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল-‘বিয়ের আগে পরীক্ষা করলে রক্ত, সন্তান থাকবে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত।’ গতকাল নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশব্যাপি বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালিত হয়েছে।
 বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া একটি নীরব মহামারী রোগ। দেশের জনসংখ্যার ৭ শতাংশ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। প্রতি বছর বাংলাদেশে ৭ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এ রোগে মারাত্মক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।
থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে হিমোগ্লোবিন তৈরি হয় না। ফলে তাদের মারাত্মক রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। সাধারণত জন্মের ১-২ বছরের মধ্যে শিশুদের থ্যালাসেমিয়া রোগ ধরা পড়ে। এ রোগীদের বেঁচে থাকার জন্য প্রতি মাসে ১-২ ব্যাগ রক্ত গ্রহণ করতে হয়। চিকিত্সা না করা হলে এ রোগী ১০-১৫ বছরের মধ্যে মারা যায়।