টাঙ্গাইলে নতুন সাজে এক হাজার ৬২৩ বিদ্যালয়
কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: ‘আমাদের বিদ্যালয় আমরাই গড়ব’ এ ব্যতিক্রমী স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণসহ আকর্ষণীয় পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
অভিভাবকরা ও শিক্ষার্থী আগ্রহী হয়ে উঠছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান ও পরিবেশ নিয়ে। উপবৃত্তি ও মিডডে মিল চালু করায় কমে এসেছে ঝড়ে পড়া শিশুর সংখ্যা। বেড়েছে লেখাপড়ার মান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল জেলায় এক হাজার ছয়শত তেইশটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। স্কুল ম্যনেজিং কমিটি, স্থানীয় শিক্ষানুরাগী, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রতিটা স্কুলের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে স্কুল ভবনগুলোকে সুন্দর আকর্ষণীয় ছবি, বাণী, বর্ণমালা দিয়ে সাজানো হয়েছে। স্কুলের সামনে রয়েছে ফুলের বাগান। শতভাগ শিক্ষার্থীর স্কুল ইউনিফরম রয়েছে, স্কুলে রয়েছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দের আইডি কার্ড ও শিক্ষক ইউনিফর্ম। প্রতিটি বিদ্যালয়ে রয়েছে সক্রিয় কাব কার্যক্রম, সুসজ্জিত প্রাক–প্রাথমিক শ্রেণিকক্ষ, ক্ষুদেডাক্তার টিম, ডিজিটাল ক্লাসরুম, প্রোগ্রেসিভ রিপোর্ট।
শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার ও স্মাটনেসের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে লাগানো হয়েছে লূকিং গ্লাস, শিশুদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায় থেকে সততার চর্চার জন্য বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে সততা স্টোর। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিটি বিদ্যালয়েই শিশুদের দেয়া হচ্ছে মেধা পুরস্কার ও মায়েদের দেয়া হচ্ছে সেরা মা সম্মাননা। স্থানীয় জনগণ, অভিভাবক ও দাতাশীল ব্যক্তিদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে দেয়া হচ্ছে সেরা দাতা সন্মাননা।
এছাড়াও বিদ্যালয়ে রয়েছে অভিভাবক ছাউনি, মিনি পার্ক, মিনি পাঠাগার, মুক্তিযোদ্ধা কর্ণার। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত সমাবেশ, শপথবাক্য পাঠ ও জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। প্রতিটি স্কুলে মিড ডে মিল কার্যক্রম চালু হওয়ায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।