কিশোর মনকে বুঝতে শিখুন

কিশোর বাংলা প্রতিবেদন: কিশোর মন একটু ভিন্নভাবেই সজ্জিত হয়। বেড়ে ওঠার কালের সবচেয়ে ভিন্ন এবং ভয়ঙ্কর পর্যায় এটি। কিশোর-কিশোরীরা সহজেই কোনো পরিস্থিতি, লোক বা নিজেদের প্রতি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে বা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। কারণ তারা একই সময়ে অনেক জিনিসের সাথে নিজেদের খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করে।
সম্প্রতি জার্মানির বার্লিনের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, কিশোর মস্তিষ্ক (১৩-১৭) তাদের শৈশবের স্মৃতিগুলোকে ফিরিয়ে আনে। তাদের মস্তিষ্ককে তুলনা করা হয় এমন একজন ড্রাইভারের সঙ্গে যিনি গাড়ি চালাতে হয় কীভাবে তা জানেন কিন্তু ব্রেক কষতে হয় কীভাবে তা জানেন না।
কিশোর-কিশোরীদের এই অযৌক্তিক মনোভঙ্গির বিপরীতে সঠিক আচরণটি কী হতে পারে তা বাবা-মাকে জানতে হবে। ধৈর্য হলো মূল চাবিকাঠি। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে বা শিশুটিকে দূরে সরিয়ে দিলে শুধু তাদের সঙ্গে বাবা-মার দূরত্বই বাড়বে। তারচেয়ে বরং তাদের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করতে হবে। তারা যতই আপনাকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাক না কেন।
অনেক বাবা-মা অনুভব করেন তাদের কিশোর বয়সী ছেলে-মেয়েরা তাদের ধারেকাছে ঘেঁষতে চায় না খুব একটা। কিন্তু বাবা-মায়েরা যে ভুলটি করেন তা হলো তারাও তাদেরকে সেভাবে চলতে দেন। আপনি যদি আপনার কিশোর বয়সী ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে স্বল্প সময় ব্যয় করেন তাহলে তারা আপনার সঙ্গে অপরিচিত বোধ করবে।
ফলে আপনার সঙ্গে তাদের আচরণের ধরনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমন কোনো দূরত্ব তৈরি হলে আজই তা ভেঙে ফেলুন। তাদের সঙ্গে আরো বেশি সময় কাটান। একই ধরনের শখ খুঁজে বের করুন শুধু তাদের সঙ্গে আরো বেশি করে সময় কাটানোর জন্য।
অনেক সময় তাদের অযৌক্তিক আচরণ থেকে হয়তো মনে হতে পারে তারা কোনো কিছুর পরোয়া করে না। কিন্তু সত্য হলো এটি তাদের প্রতিরক্ষা কৌশলের একটি অংশমাত্র।
এমন হলে কখনোই তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে যাবেন না কী হয়েছে। কারণ এতে তারা মনে করবে যে আপনি হয়তো তাদের কোনো সমস্যা হয়েছে এমনটা অনুভব করছেন। তারচেয়ে বরং কোনো কিছু বিচার করার আগে তাদের দিক থেকে তাদের বিষয়টি বুঝার চেষ্টা করুন।